প্রত্যেক মুসলমানের ওপর মুসলমানের ওপর কিছু হক আছে, যেগুলো আদায় করার মাধ্যমে পরস্পর মুহাব্বত বৃদ্ধি পায়, আল্লাহর রহমত পাওয়া যায়। তাই নবীজি (সা.) বিভিন্ন সময় সাহাবায়ে কেরামকে এমন কিছু কাজ বা অভ্যাস গড়ে তোলার নির্দেশ দিতেন, যেগুলো তাদের দুনিয়া-আখিরাতকে কল্যাণকর করে তুলবে। বারা ইবনে আজেব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন সাতটি কাজের রোগীর খোঁজ-খবর নেওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, হাঁচি দাতার জন্য দোয়া করা, দুর্বলকে সাহায্য করা, মাজলুমের সাহায্য করা, সালাম প্রসার করা এবং কসমকারীর কসম পূর্ণ করা। (বুখারি, হাদিস : ৬২৩৫) হাদিসে উল্লেখিত প্রতিটি অভ্যাসই মুমিনের জন্য কল্যাণকর, এতে একদিকে যেমন অপর মুসলমানের হক আদায় হয়, অন্যদিকে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নেক আমলের পাল্লাও ভারি হয়। নিম্নে হাদিসের আলোকে এই সাত অভ্যাসের ফজিলত তুলে ধরা হলো;...
কল্যাণকর সাত অভ্যাস
মাইমুনা আক্তার
মৃত্যুই জীবনের অনিবার্য সত্য
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ
ইতর বা ভদ্র প্রাণি অথবা ধার্মিক ও বিধর্মী কেউই মৃতু্য সীমার বাইরে নেই। কেউ চাইলে মহান আল্লাহর সব হুকুম ও শক্তিকে অস্বীকার করতে পারে কিন্তু তাকেও মৃতু্যরকূলে জীবনের তরী ভেড়াতেই হবে। মহান আল্লাহ বলেন, তোমরা যে মৃতু্য হতে পালাতে চাও, তোমাদের সেই মৃতু্যর সামনে যেতেই হবে। (সুরা জুমআ, আয়াত: ০৮) জীবন চলার বাঁকে মোড়ে সুখ-দূঃখের অভিজ্ঞতায় সম্মৃদ্ধ মানুষ ব্যধি ও জড়াগ্রস্থ হয়ে মৃতু্যর পথে এগিয়ে যায় ও যাচ্ছে। মহান আল্লাহ বলেন, তিনি দূর্বল অবস্থায় তোমাদের সৃষ্টি করেন; তারপর দূর্বলতার পর শক্তি দেন, আবার শক্তির পর দেন দূর্বলতা ও বার্ধযক্য... (সুরা রূম, আয়াত: ৫৪)। তিনি আরো বলেন, যিনি মৃতু্য ও জীবনকে সৃষ্টি করেছেন, কে সত্কর্ম করে তা পরীক্ষা করবার জন্য। (সুরা মুলক, আয়াত: ০২) উত্পন্ন পণ্যের গায়ে যেমন মেয়াদ লেখা থাকে তেমনি আমাদের ভাগ্যলিপির অদৃশ্য লিখণে মরণের স্থান ও...
ইসলামে প্রশ্নের গুরুত্ব ও উপকারিতা
মুফতি আইয়ুব নাদীম
ইসলামে ইলমের গুরুত্ব অপরিসীম। আরবি ইলম শব্দ দ্বারা জ্ঞান, অনুধাবন ও উপলব্ধি করাকে বোঝানো হয়। বাংলা ভাষায় কখনো কখনো ইলম শব্দ দ্বারা বোঝানো হয় জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা বা বিদ্যা। মুসলমানের প্রতি প্রথম বার্তাই হলো, পড়ো তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। এ থেকে ইলমে দ্বীনের গুরুত্ব স্পষ্টভাব প্রতীয়মান হয়, তা ছাড়া ইসলাম থেকে ইলমকে পৃথক করা অসম্ভব। ইসলামের প্রতিটি শাখায় ইলম বিরাজমান। ইলম ছাড়া যথার্থভাবে ইসলাম পালন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিকভাবে একজন মানুষের পক্ষে ইবাদত-বন্দেগি (নামাজ রোজা) সহ ব্যবহারিক ক্ষেত্রে যতটুকু জ্ঞান অর্জন করলে তা সুন্দর ও শুদ্ধভাবে আদায় করা যায়, তা জানা প্রত্যেক মানুষের ওপর ফরজে আইন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ইলম অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলিমের ওপর...
ইসলামে যেসব স্থান ও সময় সম্মানিত
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা
হারাম শব্দের প্রচলিত অর্থ নিষদ্ধি। তবে আরবি ভাষায় শব্দটি সম্মানের অর্থেও ব্যবহূত হয়। ইসলাম কিছু স্থান ও সময়ের বিশেষণ হিসেবে হারাম শব্দটি ব্যবহার করেছে। যেগুলো একই সঙ্গে এসব স্থান ও সময়ের মর্যাদা বোঝায় এবং তাতে বিভিন্ন কাজের সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ করে। যেগুলো হচ্ছে, ক. বায়তুল হারাম, খ. মসজিদুল হারাম, গ. বালাদুল হারাম, ঘ. মাশআরুল হারাম, ঙ. আশহুরুল হারাম। নিম্নে এগুলোর বিধান তুলে ধরা হলো। হারাম ঘোষণার দুই দিক ইসলাম কর্তৃক কিছু স্থান ও সময়কে হারাম ঘোষণা করার দুটি দিক আছে। তা হলো- ১. আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি : এসব স্থান ও সময়ের বিশেষ মর্যাদা, যার কারণে বান্দার আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি পায়। যেমন মসজিদুল হারামের ব্যাপারে মহানবী (সা.) বলেন, আমার মসজিদে আদায়কৃত এক রাকাত নামাজ অন্যত্র আদায় করা এক হাজার রাকাত নামাজের চেয়ে উত্তম। তবে মসজিদুল হারাম এর ব্যতিক্রম।...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর