মধু প্রকৃতির অসাধারণ উপহার। এটি প্রাকৃতিক, নিরাপদ এবং কার্যকর। যা স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য এবং রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে খাঁটি মধু ব্যবহার এবং সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দৈনন্দিন জীবনে মধু অন্তর্ভুক্ত করে সুস্থ থাকুন। মধু কীভাবে খাবেন? মধু খাওয়ার বিভিন্ন উপায় রয়েছে এবং এটি খাদ্য ও পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে উপভোগ করা যায়। কাঁচা মধু সরাসরি চামচ দিয়ে খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে এক চামচ মধু খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। মধুর পুষ্টি উপাদান সাধারণত ১০০ গ্রাম মধু থেকে পাওয়া যায়- শক্তি (ক্যালরি): ৩০৪ ক্যালরি শর্করা: ৮২.৪ গ্রাম (প্রধানত গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ) প্রোটিন: ০.৩ গ্রাম চর্বি: ০ গ্রাম ফাইবার: ০.২ গ্রাম পানি: ১৭.১ গ্রাম ভিটামিন সি: ০.৫ মিলিগ্রাম বি-ভিটামিন (বি৬, নিয়াসিন,...
মধু যেভাবে খেলে পাবেন ১৭ উপকার
অনলাইন ডেস্ক
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রতিষেধক সজনে ডাঁটা
চৌধুরী তাসনিম হাসিন, পুষ্টিবিদ
স্থানীয় বাজারে, গলির মোড়ে এমনকি আবাসিক এলাকায় ঘুরে বেড়ানো ভ্যানগুলোতে পাওয়া যায় অতি লোভনীয় সজনে ডাঁটা। যা তার স্বাদ ও ভেষজ গুণাগুণের জন্য অনেকের কাছেই বিশেষভাবে সমাদৃত। খুব অল্প সময়ের জন্য মূলত বসন্তের শুরুর দিকে পাওয়া যায় এ মৌসুমি সবজি। তবে এটা এখন বসন্ত শেষেও বেশ কিছুদিন পাওয়া যায়। সজনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় ডালের সঙ্গে। এছাড়া সরিষা ও আলু, টমোটো যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন, তা বাঙালিদের জন্য এক বিশেষ খাবার। এটা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও প্রতিষেধক স্বরূপ। সজনেতে যেহেতু উচ্চমাত্রায় ভিটামিন A, C, E আছে তাই এতে anti-oxidant, অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো acid এবং মিনারেলের পরিমাণ বেশি। সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের দেশের সহজলভ্য এ সজনে anti-ageing প্রক্রিয়াতে সহায়তা করে এবং এর anti-inflammatory ও anti-carcinogenic বিশেষত্ব রয়েছে। যদি সজনে কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায় তাহলে তিতা...
কিডনিতে পাথর ও করণীয়
ডা. মারজোয়া হুমায়রা মেখলা
কিডনিতে পাথর বলতে বুঝায় কিডনির ভিতরে যে অসংখ্য টিউবিউল থাকে অথবা কালেক্টিং সিস্টেমের মধ্যে পাথর তৈরি হওয়া। তবে পাথর মূত্রনালি বা মূত্রথলিতেও হতে পারে। সারা বিশ্বে বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন শতাংশ রোগী আছে। প্রায় ৪-২০ শতাংশ রোগী কিডনির পাথর রোগে ভোগে। সাধারণত ২০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে হয়। কীভাবে বা কেন পাথর হয় : প্রস্রাব কমে গেলে এবং প্রস্রাবের ঘনত্ব বেড়ে গেলে, প্রস্রাব দিয়ে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম, অক্সালেট, ইউরিক এসিড নির্গত হলে, মূত্রনালির জন্মগত ত্রুটির জন্য প্রস্রাব জমে থাকলে, মূত্রের দ্রবণ ক্ষমতা কমে গেলে। ক্রিস্টালগুলো জমে একসঙ্গে মিলিত হয়ে পাথর তৈরি করে। প্রকারভেদ : বিভিন্ন ধরনের পাথর আছে। এর মধ্যে ক্যালসিয়াম ও স্ট্রুভাইট পাথর বেশি দেখা যায়। ক্যালসিয়াম অক্সালেট, ক্যালসিয়াম ফসফেট, স্ট্রুভাইট, ইউরিক এসিড ও সিস্টিন। উপসর্গ : অনেক সময়...
ভিটামিন ডি’র প্রয়োজনীয়তা
ডা. শাহজাদা সেলিম
অনলাইন ডেস্ক
ভিটামিন ডি একটি চর্বিতে দ্রবণীয় যা শরীরের ক্যালসিয়াম, ফসফেট ইত্যাদির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন ডি অস্থির কাঠামো তৈরি এবং ঘনত্ব বৃদ্ধিতে প্রভূত ভূমিকা রাখে। নাম শুনে ভিটামিন মনে হলেও ভিটামিন ডি আসলে একটি স্টেরয়েড হরমোন। অন্যান্য ভিটামিন যেখানে অ্যান্টি অক্সিজেন বা কো-এনজাইম হিসেবে কাজ করে, ভিটামিন ডি (স্টেরয়েড হরমোন) জিন এক্সপ্রেশন নিয়ন্ত্রণ করে অর্থাৎ দেহের প্রোটিন তৈরিতে নিয়ন্ত্রণকারীর ভূমিকায় থাকে। প্রাণীজ ও উদ্ভিদজাত স্টেরল ও ফাইটোস্টেরল হতে সূর্যালোকের অতি বেগুনি রশ্মি দ্বারা রূপান্তরিত হয়ে দেহে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। ভিটামিন ডি-২ ও ভিটামিন ডি-৩ মানব দেহে থাকে। ভিটামিন ডির অভাবে যেসব উপসর্গ শিশুদের মধ্যে : গুরুতর ভিটামিন ডি অভাবে রিকেটস রোগ (হাড় বাঁকা), শিশু পেশি খিঁচুনি, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, হাঁপানি, চর্ম রোগ এবং এসব শিশুর...