ব্যবহারকারী:Aashaa/ওয়াল স্ট্রিট মন্দা, ১৯২৯
সময়ক্রম
[সম্পাদনা]ব্যাখ্যা
[সম্পাদনা]সে সময় শেয়ার বাজারের বিনোয়োগকারীরা গণ শেয়ার বিক্রি শুরু করে, কিন্তু কেনার জন্য তেমন কেউ ছিল না। ২৪ অক্টোবর মোট ১৬.৪ মিলিয়ন শেয়ার বিক্রি হয়েছিল। নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য এটা ছিল নতুন রেকর্ড। শেয়ার মার্কেট পতনের মাস দুয়েক আগে সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখে ডাউ-জোন্স সূচকের সর্বোচ্চ স্তর ছিল ৩৮১.১৭। দামের পতন শুরু হয়েছিল ২৪ অক্টোবর থেকে। ওইদিন শেয়ার মার্কেটে নিয়োজিত মোট সম্পদের শতকরা ১১ ভাগ বিলুপ্ত হয়ে যায়। ২৮ অক্টোবর ব্ল্যাক মান-ডে দরপতন হয়েছিল শতকরা ১৩ ভাগ এবং ২৯ অক্টোবর ব্ল্যাক টুয়েসডেতে আরও ১২ ভাগ। পরবর্তী দুই বছরেরও বেশি সময় পর্যন্ত শেয়ারের দর পতন অব্যাহত থাকে এবং ১৯৩২ সালের ৮ জুলাইয়ে ডাও-জোন্স সূচকের নতুন অবস্থান দাঁড়ায় ৪১.২২।
১৯২৯ সালের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের GDP পর পর দুই কোয়ার্টার্স হ্রাস পায়। অর্থাৎ শেয়ার মার্কেট পতনের আগে থেকেই অর্থনীতির নিম্নগতি শুরু হয়ে গিয়েছিল। অনেকে মনে করেন আমেরিকান সরকার যদি এই সময়ে খরচ না কমানোর নীতিতে বিশ্বাস করত তাহলে মহামন্দার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারতো।
মহামন্দার সময় মুদ্রা সরবরাহ কমে গিয়েছিল প্রায় এক তৃতীয়াংশ আর বেকারত্বের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে মোট শ্রমশক্তির ২৫ ভাগই বেকার হয়ে পড়ে। শিল্পোৎপাদন কমে গিয়েছিল শতকরা ৪৫ ভাগ। যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ভূমিকা তখন ছিল অনেকটা নিরব দর্শকের মতো।
মহামন্দা শুরুর প্রথম দিকে প্রায় সব দেশেই রাজস্ব আয়ের ঘাটতি কমানোর জন্যে অতিরিক্ত ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছিল। মহামন্দার সময়েই ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ১৯৩২ সালে।
১৯৩৬ সালের মধ্যে আমেরিকা মহামন্দার আঘাত থেকে উঠে দাঁড়াতে পেরেছিল। বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ ২৫.২ শতাংশ (১৯৩৩ সাল) থেকে নেমে ১৩ শতাংশে দাঁড়ায় (১৯৩৬ সালে) এবং ১৯৪১ সালে যখন আমেরিকা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেয় তখনও প্রায় একই পর্যায়ে ছিল। ওই বছর সরকার যুদ্ধের জন্য অতিরিক্ত লোক নিয়োগ শুরু করে। এই খাতে প্রায় ১২ মিলিয়ন লোক নিয়োগ দেয়া হয়।