অমিয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
অমিয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ( ১ জানুয়ারি ১৯১৬ – ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮) ছিলেন একজন পুরাতত্ত্বের বিশেষ আধিকারিক ও প্রাবন্ধিক। [১]
অমিয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় | |
---|---|
জন্ম | বরিশাল ব্রিটিশ ভারত (অধুনা বাংলাদেশ) | ১ জানুয়ারি ১৯১৬
মৃত্যু | ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮ কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ | (বয়স ৭২)
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
জন্ম ও শিক্ষা জীবন
সম্পাদনাঅমিয়কুমারের জন্ম অবিভক্ত বাংলার অধুনা বাংলাদেশের বরিশালে। পিতা বিপিনবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায় নবদ্বীপ হিন্দু স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং অক্ষয়কুমার দত্তের প্রিয় শিষ্য ছিলেন। পডাশোনায় মেধাবী অমিয় ম্যাট্রিক ও আই.এসসি পরীক্ষায় অষ্টম স্থান অধিকার করেন। পরে অর্থনীতি নিয়ে বি.এ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পাশ করেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনাবিসিএস পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অধিকার করে প্রাদেশিক সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন এবং প্রায় রেকর্ড সময়ে আইএএস পর্যায় উন্নীত হন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের সচিবের পদে থাকাকালীন ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহণ করেন। তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগে কাজের সুবাদে বাদ্যের বিভিন্ন জেলার তথ্য সম্বলিত ইতিহাস, গেজেটিয়ার প্রকাশ করেন। লেখক জীবনে ক্যামেরা হাতে বেরিয়ে পড়েছেন। ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার অসংখ্য স্থানে ভ্রমণ করেছেন এবং দেশ বিদেশের নানা পত্র পত্রিকায় প্রধানত ইংরেজীতে সচিত্র প্রবন্ধ রচনা করেছেন। ইংরাজী হতে বাংলায় অনুবাদও করেছেন। তার রচিত গ্রন্থগুলি হল—
- বাঁকুড়ার মন্দির
- বঙ্গলক্ষ্মীর ঝাঁপি
- রূপবতী নগরী
- চোখের আলোয় দেখেছিলাম
- দেখা হয় নাই
- হুগলি জেলার গেজেটিয়ার
- হাওড়া জেলার গেজেটিয়ার
- বাঁকুড়া জেলার গেজেটিয়ার
- অনুবাদ-
- ফ্রিডম রোড (আজাদী সড়ক) হাওয়ার্ড ফাস্ট-এর
- রাতের গাড়ি আগাথা ক্রিস্টির
- আলোক সম্পাত আগাথা ক্রিস্টির 'থ্রি অ্যাক্ট ট্র্যাজেডি'
- দশ পুতুল আগাথা ক্রিস্টির
- তিব্বতের যোগী ও তান্ত্রিকদের সান্নিধ্যে - ডেভিড নীল এর মাই জার্নি টু লাসা’র
এছাড়াও পূর্ত বিভাগে কাজের সুবাদে পুরাতত্ব বিষয়ে সম্পাদনা করেছেন নদীয়া, হাওড়া, বাঁকুডা কোচবিহার জেলার পুরাকীর্তি।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা ২৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬