অখিল নিয়োগী
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (মার্চ ২০২০) |
অখিল নিয়োগী | |
---|---|
জন্ম | সাঁকরাইল-টাঙ্গাইল , বাংলাদেশ ব্রিটিশ ভারত | ২৫ অক্টোবর ১৯০২
মৃত্যু | ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ কলকাতা, ভারত | (বয়স ৯০)
ছদ্মনাম | স্বপনবুড়ো |
পেশা | খ্যাতনামা শিশু সাহিত্যিক কবি |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
ধরন | শিশুসাহিত্য |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | বাবুইবাসা বোর্ডিং, ধন্যি ছেলে |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | বিদ্যাসাগর পুরস্কার |
অখিল নিয়োগী (জন্ম: ২৫ অক্টোবর , ১৯০২ — মৃত্যু: ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৩) একজন বাঙালি শিশুসাহিত্যিক। তিনি স্বপনবুড়ো ছদ্মনামেই অধিক পরিচিত। ব্রিটিশ ভারতবর্ষের পূর্ববঙ্গের অধুনা বাংলাদেশের ময়মনসিংহের সাঁকরাইল-টাঙ্গাইলে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।[১]
জন্ম ও শিক্ষা জীবন
[সম্পাদনা]অখিল নিয়োগীর পিতার নাম গোবিন্দ চন্দ্র নিয়োগী ও মাতা ভবতারিণী দেবী। পিতা টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী হাই স্কুলের নামকরা প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
শিক্ষা ও কর্মজীবন
[সম্পাদনা]স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং সিটি কলেজ থেকে আই.এসসি. পাশ করে সরকারি আর্ট কলেজে ভরতি হন। তখনই "শিশুসাথী" পত্রিকায় তার ধারাবাহিক উপন্যাস 'বেপরোয়া' প্রকাশিত হয়। আর্ট কলেজে ছাত্র থাকাকালে 'আর্টিস্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি' র প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক ছিলেন। সোসাইটির পক্ষ থেকে 'চিত্রা' নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করা হত। কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসাবে অখিল নিয়োগী কর্মজীবন শুরু করেন। বাংলা চলচ্চিত্রের সঙ্গে অঙ্কনশিল্পী হিসাবে তার প্রথম যোগাযোগ। পরে গীতিকার, নির্দেশক, অভিনেতা প্রভৃতি ভূমিকায় তাঁকে দেখা গিয়েছে। রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রযোজনায় শ্রীনিকেতনের ওপর যে তথ্যচিত্র তৈরি হয়, তিনি তার চিত্রনাট্যকার ছিলেন। 'মুক্তির বন্ধনে' ছবিটি তিনি পরিচালনা করেন। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে যুগান্তর পত্রিকার 'ছোটদের পাততাড়ি' বিভাগের নিয়মিত লেখক ও পরিচালক ছিলেন।[২] সেই সূত্রেই 'সব পেয়েছির আসর' গড়ে তোলেন। 'স্বপনবুড়ো' ছদ্মনামে তিনি ছোটদের জন্য গান লিখতেন এবং ক্রমে এই নামেই অধিক পরিচিত হন।[৩] ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে আন্তর্জাতিক শিশুরক্ষা সমিতির আহ্বানে ভিয়েনা যান। তার লেখা 'সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে' বইতেই প্রথম নেতাজীর স্ত্রী ও কন্যার কথা জানা যায়।
সম্মাননা
[সম্পাদনা]সাহিত্যিক হিসাবে তিনি কয়েকটি পুরস্কার ও পদক পান। ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার তাঁকে বিদ্যাসাগর পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে।
প্রকাশিত গ্রন্থসমৃহ
[সম্পাদনা]অখিল নিয়োগী র রচিথ উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ-
- 'বাবুইবাসা বোর্ডিং'
- 'বনপলাশীর ক্ষুদে ডাকাত'
- 'বাস্তুহারা'
- 'পঙ্ক থেকে পদ্ম জাগে'
- 'ধন্যি ছেলে'
- 'কিশোর অভিযান'
- 'পালা-পার্বণ ছড়াছন্দ'
- 'ভুতুড়ে দেশ'
- 'খেলার সাথী'
মৃত্যু
[সম্পাদনা]অখিল নিয়োগী ইংরাজী ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের ২১ শে ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ অঞ্জলি বসু সম্পাদিত "সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান", ২য় খণ্ড, ২০১৯ খ্রি.
- ↑ "সম্পাদক সমীপেষু: মহাকাশের মৃত্যু"। www.anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-০৮।
- ↑ Śāheda, Saiẏada Mohāmmada (১৯৮৮)। Chaṛāẏa Bāṅālī samāja o saṃskr̥ti। Ḍhākā Biśvabidyālaẏa।
- ↑ "নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম"। banglanews24.com। ২০২১-০২-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-০৮।