কল্যাণী ঘোষ
কল্যাণী ঘোষ | |
---|---|
জন্ম | ১৯৪৬ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
মাতৃশিক্ষায়তন | চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | সঙ্গীতশিল্পী |
পুরস্কার | একুশে পদক (২০২৪) |
কল্যাণী ঘোষ (জন্ম ১৯৪৬) হলেন একজন বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পী। বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একজন শিল্পী ছিলেন। সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২৪ সালে একুশে পদক প্রদান করে।[১]
জীবন
[সম্পাদনা]কল্যাণী চট্টগ্রামের বর্তমান রাউজান উপজেলার এক সঙ্গীত পরিবারে ১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার পিতার নাম মনমোহন চৌধুরী ও মাতা লীলাবতী চৌধুরী। এই দম্পতির আট সন্তানের মধ্যে তিনিসহ তারা ছয় ভাই-বোন উমা খান, প্রবাল চৌধুরী, স্বপন চৌধুরী, দেবী চৌধুরী ও পূর্ণিমা দাশ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন।[৩] পাঁচ বছর বয়সে কল্যাণী তার মায়ের কাছে গান শেখা শুরু করেন।[৪] তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি চট্টগ্রামের স্বনামধন্য সেন্ট প্ল্যাসিডস স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে নিয়মিত শিল্পী হিসেবে তালিকাভূক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে বাংলা একাডেমির উপপরিচালক হিসেবে ২০০৫ সালে অবসর গ্রহণ করেন।[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "একুশে পদক প্রদান-২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রাপ্ত সুধীজনদের তালিকা" (পিডিএফ)। www.moca.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৩।
- ↑ ক খ "জীবন সায়াহ্নে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন কল্যাণী ঘোষ"। দেশ রুপান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।
- ↑ "দৈনিক প্রথম আলো"। ১৯ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৫।
- ↑ "মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা শুধু নির্বাক স্মৃতি ॥ কল্যাণী ঘোষ"। দৈনিক জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।