খন্দকার বজলুল হক
ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক | |
---|---|
সভাপতি | |
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি | |
কাজের মেয়াদ ২০২২ – ২০২৩ | |
পূর্বসূরী | মাহফুজা খানম |
উত্তরসূরী | হারুন-অর-রশিদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | বেড়া উপজেলা, পাবনা জেলা, বাংলাদেশ | ১ মার্চ ১৯৪৬
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | সরকারি কমার্স কলেজ, চট্টগ্রাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | ইমেরিটাস অধ্যাপক |
খন্দকার বজলুল হক (জন্ম: ১ মার্চ ১৯৪৬) একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি, অগ্রণী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য এবং বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[১]
পারিবারিক জীবন
[সম্পাদনা]বজলুল হক ১৯৪৬ সালের ১ মার্চ পাবনা জেলার বেড়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা খন্দকার জোনাব আলী ও মা সৈয়দা মাহফুজুন্নাহার বেগম। তার স্ত্রী লায়লা হক ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হন।[১]
শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]খন্দকার বজলুল হক ধোবাখোলা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬১ সালে ম্যাট্রিক, চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ থেকে ১৯৬৩ সালে আইকম ও ১৯৬৫ সালে বিকম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে এমকম ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তীকালে তিনি রাশিয়ার ইনস্টিটিউট অব ন্যাশনাল ইকোনমি থেকে ১৯৮২ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ইনস্টিটিউট অন ডেভেলপিং ইকোনমিক্স থেকে ১৯৯৩ সালে ও যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা পারডু ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৮৪ সালে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন।[১]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]খন্দকার বজলুল হক ১৯৬৭ সালে গাজীপুরের কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। ১৯৭০ সাল তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদে প্রভাষক পদে যোগ দেন। তিনি ১৯৭৪ সালে সহকারী অধ্যাপক, ১৯৮৩ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৮৭ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, অর্থ কমিটির সদস্য, স্যার পিজে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হল ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট, বাণিজ্য অনুষদের ডিন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রভৃতি দায়িত্ব পালন করেন।[২]
বজলুল হক বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান (২০০৯-২০১৪) এবং অরাজনৈতিক ও অলাভজনক গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি (২০২২-২০২৩) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৩] ২০২৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক নিযুক্ত হন।[১][৪]
এছাড়া খন্দকার বজলুল হক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য[৫] এবং বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[৬]
স্মারক
[সম্পাদনা]খন্দকার বজলুল হক ২০২৩ সালে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শহিদ লায়লা হক-মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার বজলুল হক ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই ট্রাস্ট ফান্ডের আয় থেকে প্রতিবছর ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের বিবিএ ফাইনাল পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩.৯৬ সিজিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে ‘শহিদ সৈয়দা লায়লা হক স্মৃতি স্বর্ণপদক’ প্রদান এবং বিভাগের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়।[৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ "ইমেরিটাস অধ্যাপক হলেন পাবনার কৃতিসন্তান ড. খন্দকার বজলুল হক"। আলোকিত পাবনা। ২০ জুলাই ২০২৩। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।
- ↑ "উন্নত জাতি গঠনে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়তে পাঠাতেন বঙ্গবন্ধু: অধ্যাপক বজলুল হক"। বাংলা ট্রিবিউন। ২১ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।
- ↑ "এশিয়াটিক সোসাইটির নতুন কাউন্সিল: সভাপতি বজলুল হক সাধারণ সম্পাদক ড. ছিদ্দিকুর রহমান"। নয়া দিগন্ত। ২০ মে ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।
- ↑ "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক হচ্ছেন ৬ শিক্ষক"। প্রথম আলো। ১৫ জুলাই ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।
- ↑ "আ'লীগের উপদেষ্টা হলেন বজলুল হক ও ব্যারিস্টার শফিক"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১৩ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।
- ↑ "আ. লীগের উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হলেন যারা"। দৈনিক বাংলা। ২২ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।
- ↑ "ঢাবিতে নতুন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, ১৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর"। ঢাকাটাইমস। ৫ মার্চ ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।