পুনিতা অরোরা
পুনিতা অরোরা | |
---|---|
জন্ম | ৩১ মে ১৯৪৬ |
আনুগত্য | ভারত |
সেবা/ | ভারতীয় সেনাবাহিনী ভারতীয় নৌবাহিনী |
পদমর্যাদা | লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভাইস অ্যাডমিরাল |
নেতৃত্বসমূহ |
|
পুরস্কার | পরম বিশিষ্ট সেবা পদক বিশিষ্ট সেবা পদক সেনা পদক |
পুনিতা অরোরা হলেন প্রথম ভারতীয় নারী যিনি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ তথা লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদ ও[১] এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রথম নারী ভাইস অ্যাডমিরাল পদ অর্জন করেছিলেন। [২]
প্ররাম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]তিনি লাহোর থেকে আগত একটি পাঞ্জাবি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। যখন তার বয়স মাত্র ১ বছর ছিল, তখন তার পরিবার ভারত বিভাজনের সময়ে [৩] ভারতে চলে আসে এবং উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে বসতি স্থাপন করে। [৪]
শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]তিনি ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত সাহারানপুরের সোফিয়া স্কুলে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি গুরু নানক গার্লস ইন্টার কলেজে পড়তে চলে যান। ১১তম শ্রেণিতে, ছেলেদের জন্য সরকারী বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সময়, তিনি বিজ্ঞানকে নিজের পছন্দের বিষয় হিসেবে গ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালে তিনি আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ, পুণেতে যোগদান করেন,[৫] যা ছিল এএফএমসি-এর দ্বিতীয় ব্যাচ এবং তিনি সেই ব্যাচে শীর্ষস্থান লাভ করেন। [৪] তিনি তার পোষ্ট গ্র্যাজুয়েশন করেন স্ত্রীরোগ এবং ধাত্রীবিদ্যার উপর, এএফএমসি থেকে এবং পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্থানের অধিকারী হিসাবে তিনি গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত হন।[৬]
পরিবারের সদস্য
[সম্পাদনা]পুনিতা অরোরার পরিবারের সদস্যরা সকলেই ডাক্তার। তার স্বামী পি এন অরোরা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন চর্ম-বিশেষজ্ঞ হিসাবে। ব্রিগেডিয়ার হিসাবে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তার ছেলে স্কোয়াড্রন লিডার সন্দীপ অরোরা ভারতীয় বিমানবাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন। তিনি চর্ম-বিশেষজ্ঞ হিসাবে নতুন দিল্লির এয়ার ফোর্স বেস হাসপাতালে কর্মরত আছেন। অরোরার মেয়ে সাবিনাও একজন ডাক্তার। তিনি পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করার উদ্দেশ্যে পড়াশুনা শুরু করার আগে পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় বছর ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।[৬]
পেশা
[সম্পাদনা]জানুয়ারি ১৯৬৮ সালে পুনিতা কাজের জন্য অনুমোদিত হন।[৭] ভারতীয় নৌবাহিনীর ভাইস এডমিরাল হওয়ার আগে তিনি এএফএমসি এর কমান্ডেন্ট ছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজের কমান্ড্যান্টের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে, মেডিক্যাল কলেজের প্রথম মহিলা কমান্ড্যান্ট অফিসার হন। [৮] এর পূর্বে তিনি সেনা সদর দফতরে সশস্ত্র বাহিনী মেডিকেল সার্ভিসেসের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মেডিক্যাল রিসার্চ) হিসাবে সশস্ত্র বাহিনীর মেডিকেল রিসার্চ বিভাগের দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। [৭] তিনি সেনাবাহিনী থেকে নৌবাহিনীতে চলে যান, এএফএমএসের একটি সাধারণ পুল রয়েছে যার মাধ্যমে কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে এক পরিষেবা থেকে অন্যটিতে স্থানান্তরিত হন।[৯]
পুরস্কার ও পদক
[সম্পাদনা]ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ৩৬ বছরের চাকরি জীবনে তিনি ১৫টি পদক পেয়েছেন। [৮]
- দক্ষতার সঙ্গে ও সময়মত কালুচক গণহত্যার শিকার মানুষদের সহায়তা প্রদানের জন্য বিশিষ্ট সেবা পদক । [৮][১০]
- গাইনি-এন্ডোস্কোপি ও অনকোলজি সুবিধা প্রদান শুরু করার জন্য এবং সামরিক হাসপাতালে অপ্রজননক্ষম ও শিশুহীন দম্পতির জন্য ইনভিট্রো-ফার্টিলাইজেশন এবং প্রজননের জন্য সহযোগী সেবা প্রদান শুরুর জন্য সেনা পদক লাভ করেন। [৮]
- ২০১৮ সালে ভারতীয় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ কর্তৃক ১১২ জন মহিলাকে পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়, যাঁরা ছিলেন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে অগ্রজ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর "প্রথম মহিলা" লেফটেনন্ট জেনারেল হিসাবে অরোরাকেও পুরস্কার প্রদান করা হয়।[১১][১২]
|
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "The General in Sari"। Rediff।
- ↑ "Navy gets its 1st lady vice-admiral"। The Times Of India। ১৬ জুন ২০০৫।
- ↑ "rediff.com: The General in a Sari - A Slide Show"। specials.rediff.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-১৫।
- ↑ ক খ http://www.indianexpress.com/oldStory/57011/
- ↑ http://www.thesundayindian.com/26082007/storyd.asp?sid=2438&pageno=1[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ SSBCrack (২০১৫-০৭-২১)। "Story Of Punita Arora, First Woman Lt. General Of Indian Army"। SSB Interview Tips & Coaching | SSBCrack (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-২৭।
- ↑ ক খ http://www.financialexpress.com/news/a-doctor-who-looks-after-an-army/114580/0
- ↑ ক খ গ ঘ http://www.tribuneindia.com/2004/20040912/women.htm
- ↑ http://www.tribuneindia.com/2005/20050621/nation.htm#15
- ↑ http://www.thesundayindian.com/26082007/section.asp?sname='Cover%20Feature'&idate='26/08/2007 '[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Meet 10 Amazing 'First Ladies' Honoured By The President of India"। The Better India (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০১-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-২৭।
- ↑ "ভারতের প্রথম ১০০ জন সফল মহিলাকে সম্মানিত করবেন রাষ্ট্রপতি"। www.timesofbengal.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-২৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]