ফ্রেড জিনেমান
ফ্রেড জিনেমান | |
---|---|
জন্ম | আলফ্রেড জিনেমান ২৯ এপ্রিল ১৯০৭ অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি (বর্তমান পোল্যান্ড) |
মৃত্যু | ১৪ মার্চ ১৯৯৭ | (বয়স ৮৯)
পেশা | চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক |
কর্মজীবন | ১৯৩৮-১৯৮২ |
দাম্পত্য সঙ্গী | রেনে বার্টলেট (বি. ১৯৩৬; মৃ. ১৯৯৭) |
সন্তান | ১ |
আলফ্রেড জিনেমান (২৯ এপ্রিল ১৯০৭ - ১৪ মার্চ ১৯৯৭) ছিলেন অস্ট্রিয়ায় জন্মগ্রহণকারী মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক। তিনি লোমহর্ষক, পশ্চিমা ধাঁচের, নোয়া চলচ্চিত্র, ও সাহিত্যের উপযোগকরণসহ বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণ করে চারটি একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেছেন। পঞ্চাশ বছরের কর্মজীবনে তিনি ২৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।
তার নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল দ্য সার্চ (১৯৪৮), দ্য মেন (১৯৫০), হাই নুন (১৯৫২), ফ্রম হিয়ার টু ইটার্নিটি (১৯৫৩), ওকলাহোমা! (১৯৫৫), দ্য নান্স স্টোরি (১৯৫৯), আ ম্যান ফর অল সিজন্স (১৯৬৬), দ্য ডে অব দ্য জ্যাকল (১৯৭৩), ও জুলিয়া (১৯৭৭)। তার নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহ ৬৫টি বিভাগে অস্কারের মনোনয়ন পেয়েছে ও ২৪টি পুরস্কার জিতেছে।
জিনেমানের পরিচালনায় অভিনয় করে ১৯ জন অভিনয়শিল্পী অস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছেন ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা, মন্টগামারি ক্লিফট, অড্রি হেপবার্ন, গ্লিনিস জন্স, পল স্কোফিল্ড, রবার্ট শ, ওয়েন্ডি হিলার, জেসন রবার্ডস, ভানেসা রেডগ্রেভ, জেন ফন্ডা, গ্যারি কুপার, ও ম্যাক্সিমিলিয়ান শেল।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]জিনেমান ১৯০৭ সালের ২৯ এপ্রিল রৎসেৎসোভে জন্মগ্রহণ করেন।[১][২][৩][৪] তার পিতা অস্কার জিনেমান একজন ডাক্তার ছিলেন এবং তার মাতা আনা (ফেইওয়েল)।[৫][৬] তার পিতামাতা অস্ট্রীয় ইহুদি ছিলেন।[৭][৮] তার এক ছোট ভাই ছিল। শৈশবে অস্ট্রিয়ায় থাকাকালীন তিনি সঙ্গীতজ্ঞ হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পরবর্তীকালে ১৯২৭ সালে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের জন্য ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।[৭]
আইন বিষয়ে অধ্যয়নকালে তিনি চলচ্চিত্রের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং তার পিতামাতাকে প্যারিসে চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে পড়ার বিষয়ে রাজি করান। প্যারিসে একোল তেকনিক দ্য ফোতোগ্রাফি এ সিনেমাতোগ্রাফিতে এক বছর পড়ার পর তিনি চিত্রগ্রাহক হন এবং বার্লিনে কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ পান। পরবর্তীকালে তিনি হলিউডে অভিবাসিত হন।[৭] তার পিতামাতা দুজনেই ইহুদি গণহত্যার স্বীকার হন।[৯]:৮৬
পরিচালনার ধরন
[সম্পাদনা]জিনেমানের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রশিক্ষণ ও তার ব্যক্তিগত জীবন "সামাজিক বাস্তববাদী" হিসেবে তার পরিচালনার পদ্ধতিতে অবদান রেখেছিল। ১৯৩৭ থেকে ১৯৪২ সালে তার শুরুর দিকের চলচ্চিত্রে তিনি এই পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করেন। ১৯৫২ সালে তার শ্রেষ্ঠকর্ম হিসেবে বিবেচিত হাই নুন চলচ্চিত্রে তিনি পর্দা সময়ের সাথে বাস্তব সময়ের সমন্বয় ঘটিয়ে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ আবহ তৈরি করেছিলেন।[৭]
জিনেমানের পরিচালিত হাই নুন (১৯৫২), ফ্রম হিয়ার টু ইটার্নিটি (১৯৫৩), দ্য নান্স স্টোরি (১৯৫৯), আ ম্যান ফর অল সিজন্স (১৯৬৬), ও জুলিয়া (১৯৭৭)-সহ অধিকাংশ চলচ্চিত্রই নাট্যধর্মী ধারার এবং এগুলোতে কোন একাকী ও নীতিসম্পন্ন ব্যক্তির বিয়োগান্ত ঘটনাবলি দেখানো হয়েছে।
চলচ্চিত্রের তালিকা
[সম্পাদনা]পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
[সম্পাদনা]বছর | চলচ্চিত্রের শিরোনাম | অস্কার মনোনয়ন |
অস্কার জয় | বাফটা মনোনয়ন |
বাফটা জয় | গোল্ডেন গ্লোব মনোনয়ন |
গোল্ডেন গ্লোব জয় |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১৯৩০ | মেনশেন আম সনতাগ (প্রামাণ্য চলচ্চিত্র) | প্র/ন | প্র/ন | প্র/ন | প্র/ন | ||
১৯৩৬ | রিডস (দ্য ওয়েব নামেও পরিচিত) | ||||||
১৯৪২ | কিড গ্লোভ কিলার | ||||||
আইজ ইন দ্য নাইট | |||||||
১৯৪৪ | দ্য সেভন্থ ক্রস | ১ | |||||
১৯৪৬ | দ্য ক্লক (কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি ) | ||||||
১৯৪৬ | লিটল মিস্টার জিম | ||||||
১৯৪৭ | মাই ব্রাদার টকস টু হর্সেস | ||||||
১৯৪৮ | দ্য সার্চ | ৪ | ১ | ১ | ১ | ||
১৯৪৯ | অ্যাক্ট অব ভায়োলেন্স | ||||||
১৯৫০ | দ্য মেন | ১ | ১ | ||||
১৯৫১ | টেরিজা | ১ | ১ | ১ | |||
১৯৫২ | হাই নুন | ৭ | ৪ | ৭ | ৪ | ||
দ্য মেম্বার অব দ্য ওয়েডিং | ১ | ||||||
১৯৫৩ | ফ্রম হিয়ার টু ইটার্নিটি | ১৩ | ৮ | ১ | ২ | ২ | |
১৯৫৫ | ওকলাহোমা! | ৪ | ২ | ||||
১৯৫৭ | আ হ্যাটফুল অব রেইন | ১ | ১ | ৩ | |||
১৯৫৮ | দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি (কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি) | ৩ | ১ | ১ | |||
১৯৫৯ | দ্য নানস স্টোরি | ৮ | ৫ | ১ | ৫ | ||
১৯৬০ | দ্য সানডাউনার্স | ৫ | ৩ | ১ | |||
১৯৬৪ | বিহোল্ড আ পেল হর্স | ||||||
১৯৬৬ | আ ম্যান ফর অল সিজন্স | ৮ | ৬ | ৭ | ৭ | ৫ | ৪ |
১৯৭৩ | দ্য ডে অব দ্য জ্যাকেল | ১ | ৭ | ১ | ৩ | ||
১৯৭৭ | জুলিয়া | ১১ | ৩ | ১০ | ৪ | ৭ | ২ |
১৯৮২ | ফাইভ ডেজ ওয়ান সামার | ||||||
মোট | ৬৬ | ২৪ | ৩৬ | ১৪ | ৩৪ | ১৩ |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Fred Zinnemann will return to Rzeszów. In August for an extraordinary film festival"। rzeszow-news। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "The Immigrant who Directed The American Classic High Noon"। ফোর্বস। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Why Fred Zinnemann never mentioned his native Rzeszów?"। biznesistyl। biznesistyl। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Civil Registration Book of Jewish Children in Rzeszów 1906-1909"। National Records Office in Rzeszów। ১৯০৯। ৩০ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২০ – Archival resources online-এর মাধ্যমে।
- ↑ জিনেমান, ফ্রেড (আগস্ট ৩, ১৯৯২)। My Life in the Movies: An Autobiography। চার্লস স্ক্রিবনার্স সন্স। আইএসবিএন 9780684190501। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২০ – গুগল বুকস-এর মাধ্যমে। pages 48-49
- ↑ জিনেমান, ফ্রেড (৩ আগস্ট ২০১৮)। Fred Zinnemann: Interviews। ইউনিভার্সিটি প্রেস অব মিসিসিপি। আইএসবিএন 9781578066988। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২০ – গুগল বুকস-এর মাধ্যমে।
- ↑ ক খ গ ঘ হিলস্ত্রোম, লরি কলিয়ার (১৯৯৭)। International Dictionary of Films and filmmakers-2: Directors, ৩য় সংস্করণ। সেন্ট জেমস প্রেস। পৃষ্ঠা ১১১৬-১১১৯।
- ↑ রবি, টিম (২৪ আগস্ট ২০১৩)। "The music behind Hollywood's golden age - As the Proms pays tribute to Hollywood's golden age"। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Nolletti, Arthur, ed. The Films of Fred Zinnemann: Critical Perspectives, State Univ. of N.Y. Press (1999)
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে ফ্রেড জিনেমান (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে ফ্রেড জিনেমান (ইংরেজি)
- ফাইন্ড এ গ্রেইভে ফ্রেড জিনেমান (ইংরেজি)
- ১৯০৭-এ জন্ম
- ১৯৯৭-এ মৃত্যু
- অস্ট্রীয় ইহুদি বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি
- অস্ট্রীয় চলচ্চিত্র পরিচালক
- মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক
- মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক
- শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী
- গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার বিজয়ী প্রযোজক
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন ব্যবসায়ী
- অস্ট্রীয় ইহুদি
- বাফটা ফেলো
- গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা পরিচালক - চলচ্চিত্র) বিজয়ী
- ডিরেক্টরস গিল্ড অব আমেরিকা পুরস্কার বিজয়ী
- ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র পরিচালক