বিষয়বস্তুতে চলুন

সর্বপল্লী গোপাল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সর্বপল্লী গোপাল
জন্ম (1923-04-23) ২৩ এপ্রিল ১৯২৩ (বয়স ১০১)
চেন্নাই, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু২০ এপ্রিল ২০০২(2002-04-20) (বয়স ৭৮)
চেন্নাই, তামিলনাড়ু, ভারত
পেশাঐতিহাসিক
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারপদ্মভূষণ, ১৯৯৯ (ভারতীয় ইতিহাসে তার অবদানের জন্য)[]
দাম্পত্যসঙ্গীকাবেরী/ইন্দিরা রামস্বামী (১৯৪৯)
আত্মীয়সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন (পিতা), শিবকামু রাধাকৃষ্ণন (মা)

সর্বপল্লী গোপাল (২৩ এপ্রিল ১৯২৩ - ২০ এপ্রিল ২০০২)[] ছিলেন একজন সুপরিচিত ভারতীয় ইতিহাসবিদ।[] তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের পুত্র।

প্রাথমিক জীবন

[সম্পাদনা]

সর্বপল্লী গোপাল ১৯২৩ সালের ২৩ এপ্রিল ভারতের মাদ্রাজের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ এবং শিবকামু রাধাকৃষ্ণণের একমাত্র পুত্র। তার পাঁচ বোন ছিল।[]

গোপাল লন্ডনের মিল হিল স্কুলে এবং মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজে শিক্ষা লাভ করেন। তিনি অক্সফোর্ডের ব্যালিওল কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এই কলেজে থাকাকালীন তিনি কার্জন পুরস্কারে সম্মানিত হন। তিনি ১৯৫১ সালে ব্যালিওলে লর্ড রিপনের ভাইসরয়্যালিটির উপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।[]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

১৯৫০-এর দশকে তিনি ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের একজন নির্দেশক হিসাবে নিযুক্ত হন। যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন। ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি অক্সফোর্ডের সেন্ট অ্যান্টনি কলেজে ভারতীয় ইতিহাসের রীডার পদে ছিলেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দ্বারা যখন নতুন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়, সেই সময় তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর হিস্টোরিক্যাল স্টাডিজে ইতিহাসের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি ঐ বিভাগের ইতিহাসের অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৮৩ সাল থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের ইমেরিটাস অধ্যাপকের পদ পান। এই বিভাগটির স্থাপনে তার বিরাট অবদান ছিল।[]

তিনি জওহরলাল নেহেরু: অ্যা বায়োগ্রাফি জীবনী গ্রন্থটির লেখক। এই বইটির জন্য ১৯৭৬ সালে তিনি সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার পান।[]

সম্মাননা এবং পুরস্কার

[সম্পাদনা]

তিনি ১৯৬৬ সাল থেকে অক্সফোর্ডের সেন্ট অ্যান্টনি কলেজের ফেলো এবং ১৯৯৫ সালে সাম্মানিক ফেলো নির্বাচিত হন। ১৯৭০-এর দশকে তিনি নতুনদিল্লির ন্যাশনাল বুক ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৮৫ সালে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের চেয়ারম্যানের পদ অলংকৃত করেন। তিনি ১৯৯২সালে সিমলার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্সড স্টাডির চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার সামলান। ১৯৭৬ সালে তিনি ইংরাজি সাহিত্য বিভাগে সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার পান।[] ১৯৯৯ সালে ভারতীয় ইতিহাসে অবদানের জন্য তাকে পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়া হয়।[]

প্রকাশনা

[সম্পাদনা]
  • হিস্ট্রি অফ হিউম্যানিটি: সাইন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট, সপ্তম খণ্ড: দ্য টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি, (প্যারিস: ইউনেসকো, রাউটলেজ, ২০০৮) (সহ-লেখক টিচভিনস্কি, সের্গেই লিওনিডোভিচ)
  • জওহরলাল নেহেরু: অ্যা বায়োগ্রাফি, (দিল্লি: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০০৪)
  • দ্য এসেন্সসিয়াল রাইটিংস অফ জওহরলাল নেহরু, (নিউ দিল্লি: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০০৩) (সহ-লেখক উমা আয়েঙ্গার)
  • অ্যানাটমি অফ কনফ্রন্টেশন: দ্য বাবরি মসজিদ রামজন্মভূমি ইস্যু, (নিউ দিল্লি: ভাইকিং, ১৯৯১)
  • রাধাকৃষ্ণান:অ্যা বায়োগ্রাফি, (দিল্লি: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৯২)
  • ইকনমি, সোসাইটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট: এসেজ অ্যান্ড রিফ্লেকশন ইন হিউমার অফ ম্যালকম আদেশেশিয়া, (নিউ দিল্লি: সেজ, ১৯৯১) (সহ-লেখক কুরিয়েন, সিটি , ইআর প্রভাকর)
  • জওহরলাল নেহেরু: অ্যান অ্যানথোলজি, (দিল্লি: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৩)
  • সিলেক্টেড ওয়ার্কস অফ জওহরলাল নেহরু, (নিউ দিল্লি: ওরিয়েন্ট লংম্যান, ১৯৭২-৮২) (সহ-লেখক চালপট্টি রাউ, এম., শারদা প্রসাদ, এইচওয়াই, নন্দা, বিআর)
  • ব্রিটিশ পলিসি ইন ইন্ডিয়া, ১৮৫৮-১৯০৫, (কেমব্রিজ: কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৬৫)
  • মর্ডান ইন্ডিয়া, (লন্ডন: হিস্টোরিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, ১৯৬৭)
  • দ্য ভাইসারয়্যালিটি অফ লর্ড আরউইন, ১৯২৬-১৯৩১, (অক্সফোর্ড: ক্ল্যারেন্ডন প্রেস, ১৯৫৭)
  • দ্য ভাইসারয়্যালিটি অফ লর্ড রিপন, 1১৮৮০-১৮৮৪, (লন্ডন: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৫৭)
  • দ্য পার্মানেন্ট সেটেলমেন্ট ইন বেঙ্গল অ্যান্ড ইটস্ রেজাল্ট, ((লন্ডন, জি. অ্যালেন অ্যান্ড আনউইন, ১৯৪৯)

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

২০০২ সালের ২০ এপ্রিল এই ভারতীয় ইতিহাসবিদ তার ৭৯তম জন্মদিনের ঠিক তিন দিন আগে চেন্নাইতে বৃক্কের অকার্যকারিতার কারণে মারা যান।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Ministry of Home Affairs—Civilian Awards announced on January 26, 1999"। ২০০৬-০৯-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১১-০৩ 
  2. Raychaudhuri, Tapan (অক্টো ২০০৮)। "Gopal, Sarvepalli (1923–2002)"অক্সফোর্ড ডিকশনারি অব ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি (অনলাইন সংস্করণ)। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস।  (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন।)
  3. Ramachandra Guha (২৭ এপ্রিল ২০০৩)। "Remembering Sarvepalli Gopal"The Hindu। ৩০ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১১-০৩ 
  4. K. N. Panikkar (২৭ এপ্রিল – ১২ মে ২০০২)। "A great historian: Sarvepalli Gopal, 1923-2002"Frontline19 (9)। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১১-০৩ 
  5. https://sahitya-akademi.gov.in/awards/akademi%20samman_suchi.jsp#ENGLISH
pFad - Phonifier reborn

Pfad - The Proxy pFad of © 2024 Garber Painting. All rights reserved.

Note: This service is not intended for secure transactions such as banking, social media, email, or purchasing. Use at your own risk. We assume no liability whatsoever for broken pages.


Alternative Proxies:

Alternative Proxy

pFad Proxy

pFad v3 Proxy

pFad v4 Proxy