বিষয়বস্তুতে চলুন

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
প্রাক্তন নাম
ঢাকা মেডিকেল স্কুল
অধ্যক্ষঅধ্যাপক ডা. মো. মাজহারুল শাহীন (ভারপ্রাপ্ত)[]
ধরনসরকারি মেডিকেল কলেজ
স্থাপিত১৮৭৫
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ
২০০
শিক্ষার্থী১,৫০০
অবস্থান
মিটফোর্ড রোড, পুরান ঢাকা
, ,
শিক্ষাঙ্গনশহুরে, ২.৮ একর (১১,০০০ বর্গমিটার)
ওয়েবসাইটwww.ssmcbd.net
মানচিত্র

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজহাসপাতাল। এটি পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। ১৮৭৫ সালের পহেলা জুলাই ঢাকা মেডিকেল স্কুল নাম নিয়ে মেডিকেল কলেজটির যাত্রা শুরু হয়। ১৯৬৩ সালে কলেজটির নাম পরিবর্তন করে নবাব স্যার সলিমুল্লাহর নামে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ করা হয়।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]
মিটফোর্ড হাসপাতাল (১৯০৪)

মিটফোর্ড হাসপাতাল তৈরি উদ্যোগ নেয়া হয় প্রথম ১৮২০ সালে। ঢাকার সেসময়ের কালেক্টর রবার্ট মিটফোর্ড এই উদ্যোগ নেন। ১৮৩৬ সালে তার মৃত্যুর সময়ে তিনি তার সম্পত্তি এই হাসপাতালের জন্য দান করে যান। পরে লর্ড ডালহৌসি এই সম্পত্তির উপর হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। তার দানকৃত সম্পত্তির মূল্য ছিল তখনকার ১,৬০,০০০ টাকা। আরও পরে ১৮৫৮ সালের পহেলা মে মিটফোর্ড হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। আরো অনেকে তখন এই হাসপাতালের জন্য অর্থ সাহায্য প্রদান করেন। চার বছর ধরে এর নির্মাণ কাজ চলেছিল। একটি মহিলা এবং দুইটি পুরুষ ওয়ার্ড নিয়ে এর শুরু। হাসপাতালটিতে প্রথমে বেড ছিল ৯২ টি।

১৯৩০ সালের ২৯ শে আগস্ট এই হাসপাতালে ভর্তি জল পুলিশ মি. বার্ট কে দেখতে আসেন ঢাকার তৎকালীন আইজি মি. লোম্যান । তার সঙ্গে ছিলেন পুলিশ অফিসার মি. হডসন। দেখা করে যখন তাঁরা বেরোতে যাবেন, সেই সময় হাসপাতাল চত্বরেই তাদের দুজনকে গুলিবিদ্ধ করেন এই কলেজের ছাত্র তথা বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্সের একজন সদস্য, বিপ্লবী বিনয় বসু। বিনয়ের গুলিতে মারা যান লোম্যান ও চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান হডসন।

কলেজ প্রতিষ্ঠা

[সম্পাদনা]

১৮৭৫ সালের পহেলা জুলাই ঢাকা মেডিকেল স্কুল-এর যাত্রা শুরু শুরু হয়। ১৮৮৭ সালের ২ এপ্রিল মেডিকেল স্কুলের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই বছর পর ১৮৮৯ সালের ২২ অক্টোবর এর উদ্বোধন করা হয়। ১৯০৩ সালে ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ এখানে প্রসূতি ও মহিলা বিভাগ স্থাপনের জন্য অনুদান দেন। ১৯৬২ সালে ঢাকা মেডিকেল স্কুল মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত হয় এবং কলেজটির মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ নামে এর নামকরণ করা হয়। পরের বছর ১৯৬৩ সালে কলেজের নাম পরিবর্তন করে নবাব স্যার সলিমুল্লাহর নামে নবাবদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ করা হয়।

১৯৭২ সালে কলেজটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত হয় এবং ১৯৭৩ সালে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম ব্যাচ ভর্তি হয়।

ক্যাম্পাস

[সম্পাদনা]

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ পুরান ঢাকার মিটফোর্ড রোড, বাবুবাজারে অবস্থিত। কলেজের ক্যাম্পাসটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত।

ছাত্রাবাস

[সম্পাদনা]
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের প্রধান হোস্টেল

এই মেডিকেল কলেজে পাঁচটি ছাত্রাবাস রয়েছে। প্রধান ছাত্রাবাস এবং এর সম্প্রসারণ (পুরুষ), আলাউদ্দিন ছাত্রাবাস (পুরুষ), একটি মহিলা ছাত্রীনিবাস এবং দুটি ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হোস্টেল (পুরুষ ও মহিলা)।

কোর্সসমূহ

[সম্পাদনা]

স্নাতক

[সম্পাদনা]

স্নাতকোত্তর

[সম্পাদনা]
  • এমডি (ইন্টার্নাল মেডিসিন);
  • এমডি (নিউরো মেডিসিন);
  • এমডি (শিশুচিকিত্সা);
  • এমডি (নেফ্রোলজি)
  • এমডি (হৃদদ্বিজ্ঞান);
  • এমডি (রেডিওলজি এবং ইমেজিং);
  • এমডি (প্যাথোলজি);
  • এমডি (প্রাণরসায়ন);
  • এমএস (জেনারেল সার্জারি)
  • এমএস (ওফথমোলজি);
  • এমএস (নাক, কান, গলা);
  • এমএস (ইউরোলজি);
  • এমএস (গাইনী এবং অবস);
  • এমফিল (অ্যানাটমি);
  • এমফিল (শরীরবিদ্যা);
  • এমফিল (ফার্মাকোলজি);
  • এমফিল (অণুজীববিজ্ঞান);
  • এমপিএইচ (কমিউনিটি মেডিসিন);
  • ডিপ্লোমা (কার্ডিওলজি);
  • ডিপ্লোমা (গাইনী এবং অবস);
  • ডিপ্লোমা (অর্থোপেডিক সার্জারি)
  • ডিপ্লোমা (এনেস্থেসিওলজি)
  • ডিপ্লোমা (ফরেনসিক মেডিসিন)
  • ডিপ্লোমা (চর্ম ও যৌন রোগ)

কৃতী ছাত্র

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "৫ মেডিকেল কলেজে নতুন অধ্যক্ষ"Dhaka Post। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগষ্ট ২০২৪ 
  2. সাইদুল হক (২০১২)। "স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
pFad - Phonifier reborn

Pfad - The Proxy pFad of © 2024 Garber Painting. All rights reserved.

Note: This service is not intended for secure transactions such as banking, social media, email, or purchasing. Use at your own risk. We assume no liability whatsoever for broken pages.


Alternative Proxies:

Alternative Proxy

pFad Proxy

pFad v3 Proxy

pFad v4 Proxy