বীণা দাস
বীণা দাস | |
---|---|
জন্ম | ২৪ আগস্ট ১৯১১ নদীয়া, কৃষ্ণনগর (বর্তমান ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান ভারত) |
মৃত্যু | ২৬ ডিসেম্বর ১৯৮৬ ঋষিকেশ বা হরিদ্বার, ভারত | (বয়স ৭৫)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারত |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
পরিচিতির কারণ | নমস্য বিপ্লবী, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | সশস্ত্র ও অহিংস আন্দোলনকারী |
রাজনৈতিক দল | যুগান্তর দল |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
অপরাধের অভিযোগ | বাংলার ব্রিটিশ গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসনকে হত্যার চেষ্টা |
অপরাধের শাস্তি | ৯ বছর কারাবরণ |
পিতা-মাতা |
|
যুগান্তর দল |
---|
বীণা দাস (২৪ আগস্ট ১৯১১ - ২৬ ডিসেম্বর ১৯৮৬) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিকন্যা।[১][২]
জন্ম ও পরিবার
[সম্পাদনা]বীণা দাস ১৯১১ সালে নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তাদের আদি বাড়ি ছিল চট্টগ্রাম। তার পিতা ছিলেন ব্রাহ্মসমাজী পণ্ডিত ও দেশপ্রেমিক বেণী মাধব দাস ও মাতার নাম সরলা দাস। তার দিদি ছিলেন বিপ্লবী কল্যাণী দাস। পিতার আদর্শে প্রভাবিত হয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীশ ভৌমিকের সাথে তার বিবাহ হয়।[৩]
শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]কলকাতায় তিনি বেথুন কলেজে পড়াশুনা করেছেন। পরবর্তিতে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]বীণা দাসের পরিবার রাজনৈতিক পরিবার। অসহযোগ ও জাতীয় আন্দোলনের যোগ দেওয়ার কারণে তার দাদা কারাবরণ করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি রাজনৈতিক মনস্ক হয়ে ওঠেন। সে সময় যুগান্তর দল এর কতিপয় সদস্যের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। ১৯২৮ সালে সাইমন কমিশন বয়কট করার জন্য বেথুন কলেজের ছাত্রীদের নিয়ে লতিকা ঘোষের সঙ্গে উঠে-পড়ে লেগেছিলেন। ১৯৩০ সালে ডালহৌসির অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য ছোট ছোট দলের নেতৃত্ব দেন এবং গ্রেপ্তার হন। বীণা দাস ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবের নেত্রী ছিলেন এবং ১৯৩২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর সমাবর্তনে বাংলার ব্রিটিশ গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসনের উপর পিস্তল দিয়ে গুলি চালান। এইসময় জ্যাকসনকে রক্ষা ও বীণা দাসকে ধরে ফেলার কৃতিত্ব অর্জন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার হাসান সোহরাওয়ার্দী। এই হত্যা প্রচেষ্টা চালানোর কারণে ৯ বছর কারাবরণ করেন বীণা দাস। ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতার কংগ্রেসের সম্পাদিকা ছিলেন তিনি। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য ছিলেন। নোয়াখালির দাঙ্গার পরে সেখানে তিনি রিলিফের কাজ করতেন।[৩] স্বাধীনতার পরেও সামাজিক ও রাজনৈতিক কাজে নিজেকে ব্যপ্ত রাখেন। মরিচঝাঁপি গণহত্যার সময় তিনি প্রতিবাদী হন।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]বীণা দাসের শেষ জীবন বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক। স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি হরিদ্বার চলে যান। ১৯৮৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঋষিকেশে সহায় সম্বলহীন হয়ে পথপ্রান্তে মৃত্যুবরণ করেন।[৪][৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী (২০০৪)। জেলে ত্রিশ বছর, পাক ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম,। ঢাকা: ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গণ। পৃষ্ঠা ২২০। আইএসবিএন 984-8457-00-3।
- ↑ "আনন্দবাজার পত্রিকা - কলকাতা"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২৭।
- ↑ ক খ কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯। কলকাতা: র্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ১২৫-১৩০। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0।
- ↑ সেনগুপ্ত, সুবোধ চন্দ্র ও অঞ্জলি বসু (সম্পাদনা) (১৯৮৮) সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, কলকাতা: সাহিত্য সংসদ, পৃষ্ঠা ৬৬৩
- ↑ "Bina Das: 21-yr-old who shot Bengal Governor got Padma Shri, but died in penury"। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৩-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৭।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- বিস্তারিত বিপ্লবী বীণা দাস ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ আগস্ট ২০২০ তারিখে
- ১৯১১-এ জন্ম
- ১৯৮৬-এ মৃত্যু
- আদিনিবাস পূর্ববঙ্গে
- পশ্চিমবঙ্গের বিপ্লবী
- ভারতীয় বিপ্লবী
- নারী বিপ্লবী
- পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী
- ভারতীয় স্বাধীনতার বিপ্লবী আন্দোলন
- পূর্ব বাংলা থেকে ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী
- রাজনীতিতে ভারতীয় নারী
- রাজনীতিতে বাংলাদেশী নারী
- নদিয়া জেলার ব্যক্তি
- বেথুন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় রাজনীতিবিদ
- পশ্চিমবঙ্গের সমাজকর্মী
- বাঙালি হিন্দু
- বাঙালি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী
- পূর্ববঙ্গের ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ বিরোধী বিপ্লবী
- বাঙালি বিপ্লবী
- ভারতীয় নারী স্বাধীনতা কর্মী
- ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী
- ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন কর্মী
- চট্টগ্রাম জেলার ব্যক্তি
- ব্রাহ্ম
- পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- সামাজিক কাজে পদ্মশ্রী প্রাপক
- সমাজকর্মী
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় নারী রাজনীতিবিদ
- পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নারী
- ২০শ শতাব্দীর নারী শিক্ষাবিদ
- ব্রিটিশ ভারতের বন্দি ও আটক
- পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য ১৯৪৭-১৯৫১
- বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য ১৯৪৬-১৯৪৭
- কৃষ্ণনগরের ব্যক্তি