ম্যাগি স্মিথ
ম্যাগি স্মিথ | |
---|---|
জন্ম | মার্গারেট নাটালি স্মিথ ২৮ ডিসেম্বর ১৯৩৪ |
মৃত্যু | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ লন্ডন, ইংল্যান্ড | (বয়স ৮৯)
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৫২–২০২৪ |
দাম্পত্য সঙ্গী | স্যার রবার্ট স্টিফেন্স (বি. ১৯৬৭; বিবাহবিচ্ছেদ ১৯৭৪) অ্যালান বেভারলি ক্রস (বি. ১৯৭৫; বিবাহবিচ্ছেদ ১৯৯৮) |
সন্তান | ক্রিস লার্কিন টোবি স্টিফেন্স |
ডেম মার্গারেট নাটালি স্মিথ, সিএইচ, ডিবিই (ইংরেজি: Dame Margaret Natalie Smith, ২৮ ডিসেম্বর ১৯৩৪ − ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪) একজন ইংরেজ অভিনেত্রী ছিলেন। সাত দশকের অধিক সময়ের কর্মজীবনে তিনি মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে অভিনয় করেছেন। হাস্যরসাত্মক চরিত্রে বুদ্ধিমত্তার জন্য সুপরিচিত স্মিথ ব্রিটেনের সবচেয়ে স্বীকৃত এবং প্রসিদ্ধ অভিনেত্রী।[১] তিনি দুটি একাডেমি পুরস্কার, চারটি এমি পুরস্কার, তিনটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, একটি টনি পুরস্কার, পাঁচটি বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন এবং ছয়টি লরন্স অলিভিয়ে পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। স্মিথ অভিনয়ের ত্রি-মুকুট (একাডেমি, এমি ও টনি পুরস্কার) প্রাপ্ত অল্প কয়েকজন অভিনয়শিল্পীদের একজন।[২][৩] ব্রিটিশ সংস্কৃতির অন্যান্য ব্যক্তিত্ব স্মিথকে প্রদর্শন কলায় তার অবদানের জন্য রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ১৯৯০ সালে ডেমহুড প্রদান করেন,[৪] এবং নাটকে তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি রাণীর কাছ থেকে ২০১৪ সালে কম্প্যানিয়ন অব অনার লাভ করেন।[৫]
স্মিথ ১৯৫২ সালে অক্সফোর্ড প্লেহাউজের শিক্ষার্থী থাকাকালীন মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন এবং ১৯৫৬ সালে ব্রডওয়ের নিউ ফেসেস নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে পেশাদার কর্মজীবন শুরু করেন। লন্ডন মঞ্চে তার দ্য প্রাইভেট ইয়ার ও দ্য পাবলিক আই (১৯৬২), হেডা গ্যাবলার (১৯৭০), ভার্জিনিয়া (১৯৮১), দ্য ওয়ে অব দ্য ওয়ার্ল্ড (১৯৮৪) এবং ট্রি টল ওমেন (১৯৯৪) নাটকে অভিনয়ের জন্য রেকর্ড সংখ্যক পাঁচবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ইভেনিং স্ট্যান্ডার্ড পুরস্কার লাভ করেন। তিনি নোয়েল কাওয়ার্ডের প্রাইভেট লাইভ্স (১৯৭৫) ও টম স্টপার্ডের নাইট অ্যান্ড ডে (১৯৭৯) নাটকের জন্য টনি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং ১৯৯০ সালে পিটার শেফারের লেটিস অ্যান্ড লাভেজ নাটকের জন্য এই পুরস্কার লাভ করেন। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য মঞ্চ ভূমিকা হল স্ট্রাটফোর্ড শেকসপিয়ার উৎসবের অ্যান্থনি অ্যান্ড ক্লিওপ্লেট্রা (১৯৭৬), ও ম্যাকবেথ (১৯৭৮), এবং ওয়েস্ট এন্ড থিয়েটারের আ ডেলিকেট ব্যালেন্স (১৯৯৭) ও দ্য ব্রেথ অব লাইফ (২০০২)।
পর্দায় তিনি অপরাধধর্মী চলচ্চিত্র নোহোয়্যার টু গো (১৯৫৮) এ অভিনয় করে প্রথম সকলের দৃষ্টি কাড়েন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি তার প্রথম বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি রেকর্ড সংখ্যক চারবার শ্রেষ্ঠ প্রধান অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার লাভ করেন, যার মধ্যে রয়েছে দ্য প্রাইম অব মিস জিন ব্রডি (১৯৬৯), আ প্রাইভেট ফাংকশন (১৯৮৪), আ রুম উইথ আ ভিউ (১৯৮৬) ও দ্য লোনলি প্যাসন অব জুডিথ হির্ন (১৯৮৮) ছবিতে অভিনয়ের জন্য এবং টি উইথ মুসোলিনি (১৯৯৯) ছবিতে অভিনয়ের জন্য একবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার লাভ করেন।[৬] তিনি ছয়বার একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন, যার মধ্যে দ্য প্রাইম অব মিস জিন ব্রডি (১৯৬৯) ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার এবং ক্যালিফোর্নিয়া সুইট (১৯৭৮) ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ছয়জন অভিনেত্রীর জন্য একজন, যিনি এই দুই বিভাগেই পুরস্কার লাভ করেছেন। তার অস্কার মনোনয়নপ্রাপ্ত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হল ওথেলো (১৯৬৫), ট্রাভেলস উইথ মাই আন্ট (১৯৭২), আ রুম উইথ আ ভিউ (১৯৮৬) এবং গসফোর্ড পার্ক (২০০১)।
স্মিথ ব্রিটিশ পিরিয়ড নাট্যধর্মী ডাউনটাউন অ্যাবি (২০১০-২০১৫) টিভি ধারাবাহিকে ভায়োলেট ক্রলি চরিত্রে অভিনয় করে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি এই চরিত্রে অভিনয় করে তিনটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার অর্জন করেন। এর পূর্বে তিনি এইচবিওর টিভি চলচ্চিত্র মাই হাউজ ইন উমব্রিয়া (২০০৩)-এ অভিনয় করে আরেকটি এমি পুরকার অর্জন করেছিলেন। কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ১৯৯৩ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট ফেলোশিপ, ১৯৯৬ সালে বাফটা ফেলোশিপ ও ২০১০ সালে সোসাইটি অব লন্ডন থিয়েটার বিশেষ পুরস্কার-সহ অসংখ্য সম্মানসূচক পুরস্কার অর্জন করেন।[৭][৮][৬]
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]মার্গারিটা নাটালি স্মিথ ১৯৩৪ সালের ২৮শে ডিসেম্বর[৯] এসেক্সের ইলফোর্ডে[ক] জন্মগ্রহণ করেন।[১০][১১][১২] তার পিতা নাথানিয়েল স্মিথ (১৯০২-১৯৯১) ছিলেন একজন জনস্বাস্থ্য চিকিৎসক। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করতেন। স্মিথের মাতা মার্গারেট হাটন (জন্মনাম লিটল, ১৮৯৬-১৯৭৭) ছিলেন একজন স্কটিশ সচিব।[১০][১৩][১৪][১৫] স্মিথের পিতামাতা গ্লাসগো থেকে নিউক্যাসল হয়ে লন্ডন আসার পথে ট্রেনে তাদের প্রেমের পরিচয় ও প্রণয়ের গল্প শুনাতেন। চার বছর বয়সে তিনি তার পরিবারের সাথে অক্সফোর্ডে চলে যান। তার দুই ছোট যমজ ভাই রয়েছে। তারা হলেন অ্যালিস্টার (১৯৮১ সালে মারা যান) ও ইয়ান। ইয়ান স্থাপত্য স্কুলে পড়াশুনা করেন। স্মিথ ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত অক্সফোর্ড হাই স্কুলে পড়াশুনা করেন এবং পরে অক্সফোর্ড প্লেহাউজে অভিনয় বিষয়ে পড়াশুনা করেন।[১৬]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]১৯৫২-১৯৬৮: ন্যাশনাল থিয়েটার
[সম্পাদনা]স্মিথ ১৯৫২ সালে ১৭ বছর বয়সে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ড্রামাটিক সোসাইটির শিক্ষার্থী থাকাকালীন অক্সফোর্ড প্লেহাউজের টুয়েলফথ নাইট নাটকে ভায়োলা চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে প্রথম মঞ্চে কাজ করেন। এরপর তিনি অক্সফোর্ড প্লেহাউজের সিন্ডরেলা (১৯৫২), রুকারি নুক (১৯৫৩), কেকস অ্যান এল (১৯৫৩) ও দ্য গভর্নমেন্ট ইনস্পেক্টর (১৯৫৪) নাটকে অভিনয় করেন। একই বছর তাকে নেড শেরিনের প্রযোজিত টিভি অনুষ্ঠান অক্সফোর্ড একসেন্ট (১৯৫৪)-এ দেখা যায়।[১৭] ১৯৫৬ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর মাসে ইথেল ব্যারিমোর থিয়েটারে নিউ ফেসেস অব '৫৬-এর কয়েকটি চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার ব্রডওয়ে মঞ্চে অভিষেক ঘটে।[১৮][১৯] ১৯৫৭ সালে তিনি ব্যাম্বার গ্যাসোইনের সঙ্গীতধর্মী হাস্যরসাত্মক শেয়ার মাই লেটুস-এ কেনেথ উইলিয়ামসের বিপরীতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন।[২০]
১৯৬২ সালে স্মিথ লন্ডন মঞ্চে কেনেথ উইলিয়ামসের বিপরীতে পিটার শেফারের দ্য প্রাইভেট ইয়ার ও দ্য পাবলিক আই নাটকে অভিনয় করে তার প্রহতম ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড পুরস্কার অর্জন করেন। দ্য ওল্ড ভিসে তার অভিনীত দ্য ডাবল-ডিলার দেখার পর লরন্স অলিভিয়ে তাকে ১৯৬২ সালে দ্য ওল্ড ভিসে নবগঠিত ন্যাশনাল থিয়েটার কোম্পানিতে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান। ১৯৬০-এর দশকে ডেরেক জ্যাকবি ও মাইকেল গ্যাম্বনের সাথে তিনি রয়্যাল ন্যাশনাল থিয়েটারের নিয়মিত সদস্য হয়ে ওঠেন।[২১]
স্মিথ ১৯৫৬ সালে ব্রিটিশ নাট্যধর্মী চাইল্ড ইন দ্য হাউজ চলচ্চিত্রে একটি পার্টির অতিথি চরিত্রে প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, কিন্তু পর্দায় তার নামের স্বীকৃতি ছিল না।[২২] তার স্বীকৃত প্রথম চলচ্চিত্র হল ১৯৫৮ সালের অপরাধধর্মী চলচ্চিত্র নোহোয়্যার টু গো। এই চলচ্চিত্রে ব্রিজেট হাওয়ার্ড চরিত্রে অভিনয় করে তার প্রথম বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[২৩] ১৯৬০-এর দশকের শুরুতে তিনি গো টু ব্লেজস (১৯৬২), রিচার্ড বার্টন, এলিজাবেথ টেইলর ও অরসন ওয়েলসের সাথে ব্রিটিশ নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র দ্য ভি.আই.পি.স (১৯৬৩)-এ মিস ডি মিড নামক পার্শ্ব চরিত্রে, অ্যান ব্যানক্রফ্টের সাথে জ্যাক ক্লেটনের দ্য পামকিন ইটার (১৯৬৪) ও জ্যাক কার্ডিফের ইয়াং ক্যাসিডি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[২৪] তিনি লরন্স অলিভিয়ে, ডেরেক জ্যাকবি ও মাইকেল গ্যাম্বনের সাথে ওথেলো (১৯৬৫) চলচ্চিত্রে ডেসডিমোনা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে তার প্রথম একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[২৫]
১৯৬৯-১৯৭৯: প্রসিদ্ধি লাভ ও তারকাখ্যাতি
[সম্পাদনা]স্মিথ দ্য প্রাইম অব মিস জিন ব্রডি (১৯৬৯) চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।[২৬] ভানেসা রেডগ্রেভ লন্ডনে মঞ্চে প্রথম এই চরিত্রে অভিনয় করেন[২৭] এবং জোই ক্যাডওয়েল নিউ ইয়র্ক সিটিতে এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মঞ্চনাটকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে টনি পুরস্কার অর্জন করেন। স্মিথ এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হন। শিকাগো রিডার-এর ডেভ কার বলেন স্মিথ এমন কৌশলগত অত্যাশ্চার্য, আবেগপ্রবণ অভিনয় করেছেন যে বিষয়ে তিনি অত্যন্ত পারদর্শী।[২৮] গ্রেগ ফেরারা লিখেন, এটি "এই দশকের অন্যতম সেরা ব্রিটিশ চলচ্চিত্র। এটি আজও ততটাই মুগ্ধকর, যতটা এটি মুক্তির সময় ছিল এবং ম্যাগি স্মিথ ও পামেলা ফ্রাঙ্কলিন অভিনীত দুটি প্রধান চরিত্রই আলোড়ন সৃষ্টিকারী ও মন্ত্রমুগ্ধকর।"[২৯] স্মিথ এই চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কারও অর্জন করেন।[৩০]
১৯৭০ সালে স্মিথ ইংমার বারিমানের নির্দেশনায় হেনরিক ইবসেনের হেডা গ্যাবলার নাটকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তার দ্বিতীয় ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড থিয়েটার পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি ৪৬ স্ট্রিট থিয়েটারে ব্রডওয়ে মঞ্চে নোয়েল কাওয়ার্ডের প্রাইভেট লাইভ্স নাটকে অ্যামান্ডা প্রাইন চরিত্রে অভিনয় করেন। জন গিলগুড নির্দেশিত নাটকটি ইতিবাচক পর্যালোচনা লাভ করে।[৩১] দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর মঞ্চ সমালোচক স্মিথের দৈহিক হাস্যরসাত্মক অভিনয়ের দক্ষতার প্রশংসা করে লিখেন, "মিস স্মিথের দেহ ঘোরে, কাৎ হয়, অন্য একটি পা নামার আগে একই সময়ে প্রাঙ্গনে পরে না, ও পক্ষাঘাতে শেষ হয় যা পূর্বাবস্থায় ফেরাতে সম্মোহনের প্রয়োজন হবে। নোয়েল কাওয়ার্ডের রচিত গল্প মজাদার ও মিস স্মিথ সামান্য অতিরিক্ত সংকেত পাঠান যা মন্ত্রমুগ্ধকর হওয়ার কারনে এই প্রভাব অত্যন্ত হাস্যকর।"[৩২] স্মিথ এই কাজের জন্য তার প্রথম টনি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
১৯৭২ সালে স্মিথ জর্জ কিউকরের ট্রাভেলস উইথ মাই আন্ট চলচ্চিত্রে অগাস্টা বার্টম্যান চরিত্রে অভিনয় করেন। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তার তৃতীয় একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৩৩] ১৯৭৮ সালে স্মিথ মাইকেল কেইনের বিপরীতে নিল সিমনের ক্যালিফোর্নিয়া সুইট চলচ্চিত্রে একজন অস্কার মনোনীত অভিনেত্রী চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।[৩৪] এখন পর্যন্ত তিনিই কাল্পনিক অস্কার মনোনীত চরিত্রে অভিনয় করে অস্কার জয়ী একমাত্র ব্যক্তি।[৩৫] এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তার প্রথম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারও অর্জন করেন।[৩৬]
১৯৭৬ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত স্মিথ অন্টারিওর স্ট্র্যাটফোর্ডে স্ট্র্যাটফোর্ড শেকসপিয়ার উৎসবে অসংখ্য মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন, তন্মধ্যে অ্যান্টনি অ্যান্ড ক্লিওপেট্রা (১৯৭৬)-এ ক্লিওপেট্রা, থার্ড রিচার্ড (১৯৭৭)-এ রানী এলিজাবেথ ও ম্যাকবেথ (১৯৭৮) নাটকে লেডি ম্যাকবেথ চরিত্রে অভিনয় করে সমাদৃত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি টম স্টপার্ডের মৌলিক নাটক নাইট অ্যান্ড ডে-এ রুথ কারসন চরিত্রে অভিনয় করেন। নাটকটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া লাভ করে, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর ওয়াল্টার কার স্মিথের অভিনয়ের প্রশংসা করলেও তার চরিত্রের লেখনীর সমালোচনা করে লিখেন, এটি "নাটকীয়ভাবে আমরা যেখানে শুরু করেছিলেন সেখানেই রেখে গেছে। এই অভিনেত্রী বিস্ময় সৃষ্টি করতে পারেন এবং করেন। কিন্তু তিনি একাকী রাতকে দিন করতে পারবেন না।"[৩৭] এই কাজের জন্য তিনি মঞ্চনাটকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তার দ্বিতীয় টনি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৩৮]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]বিবাহ
[সম্পাদনা]স্মিথ ১৯৬৭ সালের ২৯শে জুন অভিনেতা রবার্ট স্টিফেন্সকে বিয়ে করেন এবং ১৯৭৫ সালের ৬ই এপ্রিল স্টিফেন্সের সাথে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।[৩৯] এই দম্পতির দুই পুত্র - অভিনেতা ক্রিস লার্কিন (জ. ১৯৬৭) ও টোবি স্টিফেন্স (জ. ১৯৬৯)।[৪০] তিনি এরপর ১৯৭৫ সালের ২৩শে জুন গিল্ডফোর্ড রেজিস্টার অফিসে নাট্যকার অ্যালান বেভারলি ক্রসকে বিয়ে করেন।[৩৯] ১৯৯৮ সালের ২০শে মার্চ ক্রস মৃত্যুবরণ করেন। দুই পুত্রের ঔরসে তার পাঁচ নাতি-নাতনী রয়েছে।[৪১][৪২][৪৩]
স্বাস্থ্য
[সম্পাদনা]১৯৮৮ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি গ্রেভস রোগের চিকিৎসা নেন, যার জন্য তাকে রেডিওথেরাপি ও অপটিক্যাল সার্জারি করাতে হয়।[৪৪]
২০০৭ সালে দ্য সানডে টেলিগ্রাফ প্রকাশ করে স্মিথ স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা নিয়েছেন। ২০০৯ সালে তিনি ক্যান্সার থেকে পরিপূর্ণ সুস্থ্য হন।[৪৫]
মৃত্যু ও প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]স্মিথ ২০২৪ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর ৮৯ বছর বয়সে লন্ডনের চেলসি অ্যান্ড ওয়েস্টমিনস্টার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[৪৬] রাজা তৃতীয় চার্লস এক বিবৃতিতে লিখেন, "একটি জাতীয় সম্পদের পর্দায় নেমে এসেছে, আমরা বিশ্বের সকলে প্রশংসা ও আবেগ নিয়ে পর্দা ও মঞ্চে তার অসংখ্য অসাধারণ অভিনয়, তার উষ্ণতা ও বুদ্ধিমত্তার জন্য তাকে স্মরণ করতে যোগ দিয়েছি।"[৪৭] রাজনীতিবিদগণ তার প্রশংসা করেছেন, তন্মধ্যে ঋষি সুনাক ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তাকে "জাতীয় সম্পদ" বলে অভিহিত করেন।[৪৮]
বিনোদন শিল্পের অনেকেই তার মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানান, তন্মধ্যে তার সিস্টার অ্যাক্ট চলচ্চিত্রের সহ-শিল্পী উপি গোল্ডবার্গ তাকে "একজন অসাধারণ নারী ও মেধাবী অভিনেত্রী" বলে অভিহিত করে বলেন, "আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারি না যে আমি "এমন একজন"-এর সাথে কাজ করার মত ভাগ্যবান ছিলাম।"[৪৯] তার হ্যারি পটার চলচ্চিত্রের সহ-শিল্পী ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ এক বিবৃতিতে বলেন, "তার সাথে কাজ করতে পারায় আমি নিজেকে সবসময় খুবই ভাগ্যবান মনে করব...কিংবদন্তি শব্দটি বহুল ব্যবহৃত, কিন্তু আমাদের শিল্পে যদি কারও উপর এটি ব্যবহার করতে হয় তবে সেটি তার উপর ব্যবহার করতে হবে।"[৫০] হ্যারি পটার চলচ্চিত্রের তার আরেক সহ-শিল্পী এমা ওয়াটসন এক বিবৃতিতে বলেন, "তিনি বাস্তব, সৎ, কৌতুকপূর্ণ ও আত্মসম্মান-সম্পন্ন ছিলেন।... ম্যাগি, আপনার উদারতার জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনাকে মিস করব।"[৫১] স্মিথের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন হ্যারি পটার-এর লেখিকা জে. কে. রাউলিং, বনি রাইট, জুলিয়ান ফেলোস, হিউ বোনভিল, মাইকেল ডকারি, ভায়োলা ডেভিস, ক্রিস্টিন স্কট টমাস, হ্যারিয়েট ওয়াল্টার, মিয়া ফ্যারো ও রব লো।[৫২][৫৩][৫৪][৫৫]
পাদটীকা
[সম্পাদনা]- ↑ ইলফোর্ড ১৯৬৫ সালের পূর্ব এসেক্স কাউন্টির অংশ ছিল, কিন্তু বর্তমানে তা গ্রেটার লন্ডনের অংশ।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Maggie Smith | Biography, Movies, & Facts"। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Triple Crown of Acting Winners"। গোল্ড ডার্বি। ৫ এপ্রিল ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ ক্রোগন, অ্যালিসন (১০ জুন ২০০৯)। "Jewel in the triple crown"। নিউজ.কম]। ১৪ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ স্পেয়ার্স, ডব্লিউ. (৩০ ডিসেম্বর ১৯৮৯)। "Queen Honors Naipaul, Maggie Smith"। ফিলি.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "নং. 60895"। দ্যা লন্ডন গেজেট (সম্পূরক) (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ জুন ২০১৪।
- ↑ ক খ "Maggie Smith BAFTA Awards"। বাফটা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "BAFTA Awards Search | BAFTA Awards"। বাফটা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Dame Maggie Smith's BAFTA Special Award Acceptance Speech in 1993"। ইউটিউব। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Orders and decorations conferred by the crown" (ইংরেজি ভাষায়)। Debrett's। ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮।
- ↑ ক খ ম্যাকেঞ্জি, সুজি (২০ নভেম্বর ২০০৪)। "You have to laugh"। দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। UK। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Person Details for Margaret N. Smith, "England and Wales Birth Registration Index, 1837-2008""। ফ্যামিলি সার্চ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮।
- ↑ এনফিল্ড, লরা (১৮ নভেম্বর ২০১৫)। "Ilford born Maggie Smith talks about starring in The Lady in the Van"। দ্য টটেনহাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Maggie Smith profile"। ফিল্ম রেফারেন্স (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Maggie Smith profile"। ইয়াহু! মুভিজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Maggie Smith biography"। tiscali.co.uk (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ নভেম্বর ২০০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Maggie Smith biography and filmography"। ট্রিবিউট.সিএ (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮।
- ↑ কোভেনি, মাইকেল (৩ অক্টোবর ২০০৭)। "Obituary: Ned Sherrin"। দ্য গার্ডিয়ান।
- ↑ Maggie Smith acceptance speech at the 44th Tony Awards telecast in 1990.
- ↑ "Maggie Smith"। আইবিডিবি। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Share My Lettuce"। দ্য গাইড টু মিউজিক্যাল থিয়েটার। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ চার্লসওয়ার্থ, এলিজাবেথ (২৮ ডিসেম্বর ২০১৭)। "Maggie Smith and The Old Vic"। দ্য ওল্ড ভিস। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ The Oxford Encyclopedia of Theatre and Performance। Oxford University Press। ২০১২। আইএসবিএন 978-0-19172-781-8।
- ↑ "Film in 1959"। বাফটা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "A list of Maggie Smith's films"। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "The 38th Academy Awards (1966) Nominees and Winners"। অস্কার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Academy Awards Best Actress"। ফিল্মসাইট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮।
- ↑ অ্যান্থনি, অ্যান্ড্রু (২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০)। "Vanessa Redgrave: A performer of passion, conviction and tragedy"। দি অবজারভার। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ কের, ডেভিড। "The Prime of Miss Jean Brodie"। শিকাগো রিডার। ৩ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ Ferrara, Greg। "The Prime of Miss Jean Brodie – Film Article"। টার্নার ক্লাসিক মুভিজ। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "BAFTA Awards (1970)"। বাফটা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Stratford Festival Archives | Details"। স্ট্র্যাটফোর্ড ফেস্টিভাল। ৬ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "STAGE VIEW"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "The 45th Academy Awards"। অস্কার। ৫ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "ACADEMY AWARDS ACCEPTANCE SPEECH: Maggie Smith"। অস্কার। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ শেরউইন, অ্যাডাম (৯ নভেম্বর ২০১৫)। "Oscars 2016: Dame Maggie Smith tipped as candidate for Best Actress for role in The Lady in The Van"। দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "California Suite"। গোল্ডেন গ্লোবস। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ কার, ওয়াল্টার (২৮ নভেম্বর ১৯৭৯)। "Theater: Stoppard's 'Night and Day'"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "The Tony Award Nominations"। টনি পুরস্কার। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ ক খ কোভেনি, মাইকেল (সেপ্টেম্বর ১৯৯২)। Maggie Smith: A Bright Particular Star। ভিক্টর গোলানৎস লিমিটেড। আইএসবিএন 978-0-575-05188-1। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ প্রাইয়ার, এমা (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "Downton Abbey's Maggie Smith and how she became the dame who shuns fame"। দ্য মিরর। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ হাওয়ার্ড, প্যাট। "60 Minutes: Dame Maggie Smith Retirement & Downton Abbey Season 4"। Recapo। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ কোভেনি, মাইকেল (৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৭)। "I'm Very Scared of Being Back on Stage"। দিস ইজ লন্ডন। ১৯ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ লসন, মার্ক (৩১ মে ২০০৭)। "Prodigal Son"। দ্য গার্ডিয়ান। লন্ডন। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ উল্ফ, ম্যাট (১৮ মার্চ ১৯৯০)। "There Is Nothing Like This Dame"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Dame Maggie Smith reveals Harry Potter breast cancer treatment struggle"। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ অক্টোবর ২০০৯। ১০ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Actress Dame Maggie Smith dies at 89" (ইংরেজি ভাষায়)। বিবিসি নিউজ। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "King Charles III mourns Maggie Smith after legendary British actress dies at 89"। ইউএসএ টুডে (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Remembering Dame Maggie Smith: 'Truly heartbreaking', says Daniel Radcliffe, British PM Starmer calls her a 'national treasure'"। দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Whoopi Goldberg pays tribute to late Sister Act costar Maggie Smith: 'A brilliant actress'"। এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Maggie Smith remembered by Daniel Radcliffe, Whoopi Goldberg and more"। গুড মর্নিং আমেরিকা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Emma Watson honors 'Harry Potter' costar and 'legend' Maggie Smith"। এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Daniel Radcliffe, Whoopi Goldberg, Julian Fellowes, and More Honor Late Icon Maggie Smith: A 'Magnificent' Star"। ইন্ডিওয়্যার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Maggie Smith Remembered by Daniel Radcliffe, 'Downton Abbey' Cast and More"। দ্যর্যাপ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Tributes paid to 'true legend' Dame Maggie Smith"। বিবিসি নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "'Harry Potter,' 'Downton Abbey' Stars Pay Tribute to Maggie Smith: "One of the Greatest Actors of Our Time""। দ্য হলিউড রিপোর্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে ম্যাগি স্মিথ (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট ব্রডওয়ে ডেটাবেজে ম্যাগি স্মিথ (ইংরেজি)
- ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের স্ক্রিনঅনলাইনে ম্যাগি স্মিথ
- টার্নার ক্লাসিক মুভিজ ডেটাবেজে ম্যাগি স্মিথ (ইংরেজি)
- গ্রন্থাগারে ম্যাগি স্মিথ সম্পর্কিত বা কর্তৃক কাজ (ওয়ার্ল্ডক্যাট ক্যাটালগ) (ইংরেজি)
- এমিস.কমে ম্যাগি স্মিথ
- ১৯৩৪-এ জন্ম
- ২০২৪-এ মৃত্যু
- ২০শ শতাব্দীর ইংরেজ অভিনেত্রী
- ২১শ শতাব্দীর ইংরেজ অভিনেত্রী
- অডিওবই পাঠক
- অক্সফোর্ডের অভিনেত্রী
- ইংরেজ শেকসপিয়ারীয় অভিনেত্রী
- ইংরেজ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
- ইংরেজ টেলিভিশন অভিনেত্রী
- ইংরেজ মঞ্চ অভিনেত্রী
- ডেমহুডপ্রাপ্ত ব্রিটিশ অভিনেত্রী
- স্কটিশ বংশোদ্ভূত ইংরেজ ব্যক্তি
- ব্রিটিশ ডেমহুড প্রাপ্ত অভিনেত্রী
- শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী
- শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী
- শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার বিজয়ী
- শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার বিজয়ী
- বাফটা ফেলো
- গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী - সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র) বিজয়ী
- গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী - চলচ্চিত্র) বিজয়ী
- গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী - টেলিভিশন) বিজয়ী
- শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড পুরস্কার বিজয়ী
- টনি পুরস্কার বিজয়ী
- লরন্স অলিভিয়ে পুরস্কার বিজয়ী
- শেকসপিয়ার পুরস্কার বিজয়ী
- স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার বিজয়ী
- নাট্যধর্মী ধারাবাহিকে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার বিজয়ী
- অক্সফোর্ডের ব্যক্তি
- সীমিত ধারাবাহিক বা চলচ্চিত্রে সেরা প্রধান অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার বিজয়ী
- সীমিত ধারাবাহিক বা চলচ্চিত্রে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার বিজয়ী